
ডঃ মার্টিন কুপার কে বলা হয় মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক। মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত থাকাকালীন ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফল ভাবে এই ফোনের মাধ্যমে তিনই কল করতে সক্ষম হন। Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission বা btrc অনুমধন প্রাপ্ত প্রথম মোবাইল অপারেটর দের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন সিটিসেল ছিল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ এর মোবাইল সেভা প্রধান কারী অপারেটর। তারপর বাংলাদেশ এ ধিরে ধিরে অনেক মোবাইল অপারেটরের আগমন হোলেও মাত্র ৬ টি কোম্পানি ছাড়া অন্য গুলো দেওলিয়া হয়ে গেছে।
আপনাদের কি মনে আছে ২০০০ সালের আগে আমাদের বাবাদের হাতে য মোবাইল গুলো শভা পেতো ওগুলোর কথা?? মনে হতো এক এক টা যেন হকিস্টিক। ১৯৯৫ এর পর থেকে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত Sony Ericsson ericsson ga628 এর বাজার মূল্য ছিল ৩৪ হাজার টাকা, যা বর্তমানে একটি iphone 5 এর সমান।
তো আসুন, নিজের দেশের ইতিহাসে ফিরে আসি। বাংলাদেশ এ বর্তমান এ য ৬ টা কোম্পানি রাজত্ব করে আসছে তারা হল-
মোবাইল অপারেটর সিটিসেল (সিডিএমএ)
মোবাইল অপারেটর রবি (পূর্ব নাম একটেল)
মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক (সেবাওয়ার্ল্ডকে কিনে নেয়)
মোবাইল অপারেটর টেলিটক
মোবাইল অপারেটর এয়ারটেল (বাংলাদেশ) (ওয়ারিদকে কিনে নেয় )
মোবাইল অপারেটর সিটিসেল (সিডিএমএ)
মোবাইল অপারেটর রবি (পূর্ব নাম একটেল)
মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক (সেবাওয়ার্ল্ডকে কিনে নেয়)
মোবাইল অপারেটর টেলিটক
মোবাইল অপারেটর এয়ারটেল (বাংলাদেশ) (ওয়ারিদকে কিনে নেয় )
সিটিসেল এর গল্পঃ এরা ১৯৮৯ সালে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স পায়।
তৎকালীন দেশ এর এক মাত্র মোবাইল অপারেটর হওয়া তে তারা বেশ ভালো লাভ করতে পারতো। প্রতি মিনিট ২১ টাকা কল রেট থেকে শুরু হয়। উচ্চ বিত্তবান মানুস রা শুধু এটা ব্যাবহার করতে পারতো। তাদের এক মাত্র packeg ছিল সেবা। ২০০৭-২০০৮ থেকে তারা ইন্টারনেট সেবা চালু করলেও, বর্তমানে তারা দেওলিয়া হওার পথে। প্রতিটি সংযোগ কিনতে খরচ হতো ১৬ হাজার টাকা।
তৎকালীন দেশ এর এক মাত্র মোবাইল অপারেটর হওয়া তে তারা বেশ ভালো লাভ করতে পারতো। প্রতি মিনিট ২১ টাকা কল রেট থেকে শুরু হয়। উচ্চ বিত্তবান মানুস রা শুধু এটা ব্যাবহার করতে পারতো। তাদের এক মাত্র packeg ছিল সেবা। ২০০৭-২০০৮ থেকে তারা ইন্টারনেট সেবা চালু করলেও, বর্তমানে তারা দেওলিয়া হওার পথে। প্রতিটি সংযোগ কিনতে খরচ হতো ১৬ হাজার টাকা।
রবি এর গল্পঃ 'একটেল!! ২ সেকেন্ড পালস?? ' এটা বলে এ একটা ছেলের সব চুল খাড়া হয়ে যেত। আশা করি শেয় বিজ্ঞাপন টি সবাই মনে রেখেন। তখন এদের মুল ডায়ালগ ছিল '' একটেল !! আক ধাপ এগিয়ে'' ....... বর্তমানএ তারা নিজেদের নাম বদলে রবি এবং ডায়ালগ বদলে "জ্বলে ওঠো আপন শক্তিতে'" হয়ে গেছে।
এরা যাত্রা শুরু করে একটেল ব্র্যান্ড হিসেবে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ, এই সেবাটি ‘রবি’ ব্র্যান্ড হিসেবে অভিহিত হয়, এবং প্রতিষ্ঠানটি রবি আজিয়াটা লিমিটেড নামে পরিচিত হয়। ৬০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে একটেল বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানি। বাংলাদেশে একটেল সর্বপ্রথম জি.পি.আর.এস. (মোবাইল ইন্টারনেট) সেবা প্রদান করে।
গ্রামীনফোন এর গল্পঃ এরা তো সবার পরিচিত। কেও কেও এদের বেশি বিল এর জন্য এদেরকে হারামি ফোন বলে ডাকেন। রবির সাথে সাথে এরাও ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশে।
শুরুর দিকে তাদের কল রেট ছিল ১৮ টাকা। এত উচ্ছবিল হওয়া সত্তেও শুধু মাত্র উন্নত কাস্তমার সেবা দিয়া তারা আজ বাংলাদেশ এর ৫০% মার্কেট দখল করে আছে। বর্তমানে তাদের গ্রাহক ১ কটি ২০ লক্ষ। গ্রামীনফোন এর প্রথম ইন্টারনেট packeg ছিল explore । যা শুধু মাত্র পোস্টপেড গ্রাহক রা নিতে পারতো। মাসিক খরচ ছিল ৫০০ টাকা এবং ১০০ মেগাবাইট পর্যন্ত ব্যাবহার করা যেত।
বাংলালিংক এর গল্পঃ বাংলালিংক সেবা টেলিকম লিমিটেডের একটি ব্রান্ড এবং দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী অপারেটর। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওরাসকম টেলিকম সেবা টেলিকমের ১০০% শেয়ার কিনে নেয়। এরা ৬০ মিলিয়ন ডলার মূলধন বিনিয়োগ করে এবং টেলিফোন ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখে বাংলালিংক।
একটু ২০০৬,২০০৭ এর কথা মনে করুন দেখি। মনে পরে, রাস্তার পাশে বাংলালিংক এর সিম ১৫-২০ টাকা দিয়া কিনা যেত ??? হম, এরা ও কিছু দিন আগে পথে বসে পড়তে নিয়ে ছিল। তবে এখন ও প্রতিজগিতার বাজার ে তারা কোন রকমে টিকে আছে। btrc হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে তাদে গ্রাহক ৪৯,০০০ এর চেয়ে একটু বেশি।
এয়ারটেল এর গল্পঃ ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ওয়ারিদের যাত্রা শুরু। এরা বিটিআরসি থেকে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ জিএসএম মোবাইল অপারেটর হিসাবে লাইসেন্স পায়। কিন্ত দক্ষতার অভাবে পরে ভারত ভিত্তিক ভারতী এয়ারটেল গ্রুপের কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
বর্তমানে এদের গ্রাহকের প্রায় পুরটা তরুন ব্যাবহারকারি। কম কল রেট হওার দরুন তারা আজ মার্কেটে বেশ ভালো করে টিকে আছে।
টেলিটক এর গল্পঃ টেলিটক বাংলাদেশের সরকারী-মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি। এটি ২০০৫ সালে বাণিজিক বিপণন শুরু করে। ২০১০ পর্যন্ত এরা ও মার্কেটে কোন সুবিধা করতে পারে নাই। তবে ২০১০ হতে শিক্ষা বোর্ডের
ফলাফল কাজের অংশ নেওার জন্য এবং প্রথম থ্রী-জি সুবিধা চালু করার জন্য বর্তমানে টেলিটক বাজারে টিকে আছে ভালো করে।
ধিরে ধিরে আমাদের দেশে মোবাইল অপেরাতর দের উন্নতি হচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকে দেশে vodaphone নামের আরেকটি অপারেটরের আগমন হতে পারে।
আজ আর পারছি না বাপ... অন্য আরেক দিন, অন্য কিছু লেখা সহ হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফিজ।
0 comments:
Post a Comment