ছোটবেলায় দেখেছি কুরবানী'র গরুর ভুড়ি (Beef tripe) ফেলে দেওয়া হতো। আর বাজার থেকে কেনারতো প্রশ্নই ওঠেনা! এখন আর ভুড়ি ফেলে দেওয়া হয় না। কুরবানীর শরিকদারেরা খুব আদর করে ভুড়ি নিয়ে যায়
ঘরে। গোস্তের চেয়ে নাকি মজা বেশি গরুর ভুড়িতে। তবে রান্না ভাল না হলে ভুড়ি খেতে আপনার ভাল লাগবে না। তার আগে অবশ্য ভুড়ি খুব ভাল করে পরিস্কার করতে হবে। পরিস্কারের ব্যাপারটা অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে জেনে নেয়াই ভাল।

মজার সাথে গরুর ভুড়ির উপকারি দিক যেমন আছে তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। তাই যারা গরুর ভুড়ি খেতে পছন্দ করেন তাদের বলছি -
* খাওয়ার আগে খুবই ভালো ভাবে পরিষ্কার করে এবং ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে কারণ গরুর শরীরের এই অংশ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে।
* আর মনে রাখবেন, ১০০ গ্রাম ভুড়িতে থাকে ৪ গ্রাম ফ্যাট এবং ১৫৭ মিগ্রা কোলেস্টেরল।
* একজন হার্টের রোগী দিনে ২০০ মিগ্রা কোলেস্টেরল খেতে পারেন এবং একজন সুস্থ্য মানুষ দিনে ৩০০ মিগ্রা কোলেস্টেরল খেতে পারেন। অর্থাৎ একজন সুস্থ্য মানুষের দিনে কোলেস্টেরল গ্রহণের নিরাপদ মাত্রার অর্ধেক এবং একজন হার্টের রোগীর দিনে কোলেস্টেরল গ্রহণের নিরাপদ মাত্রার ৭৯% চলে আসে মাত্র ১০০ গ্রাম ভুরি খেলে (পাশাপাশি সারাদিন তো অন্যান্য খাবারতো রয়েছেই)
* তাছাড়াও এতে থাকে আরো দুই ধরণের ক্ষতিকর ফ্যাট- স্যাচুরেটেড ফ্যাট (১.৩ গ্রাম) এবং ট্রান্স ফ্যাট (০.২ গ্রাম)
* তবে হ্যাঁ এর মধ্যে ৪টি পুষ্টি উপাদানও আছে- জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। কিন্তু এই ৪টি উপাদানের প্রথম তিনটি আপনি গরুর মাংস থেকেই পেয়ে যাবেন।

0 comments:

Post a Comment

Subscribe to RSS Feed Follow me on Twitter!