iiiii
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) বর্তমান পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সিগন্যাল জ্যামিংয়ের মতো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা হ্রাস পেয়েছে। এরই মধ্যে  স্যাটেলাইট সিগন্যাল জ্যাম করে মার্কিন একটি ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ দখল করার দাবি করেছে ইরান। সংবাদ সংস্থা ফক্স নিউজ সম্প্রতি এক খবরে জানিয়েছে, পুরনো ওই প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নতুন প্রযুক্তির জিপিএস বানাতে পৃথকভাবে কাজ করছে মার্কিন, ব্রিটিশ ও চীনা বিভিন্ন প্রতিরক্ষাপণ্য প্রস্তুতকারী বিভিন্ন সংস্থা।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষাপণ্য নির্মাতা লকহিড মার্টিন নির্মিত নতুন প্রজন্মের জিপিএস ৩-এর সফল পরীক্ষা করেছে। এর আওতায় পুরনো স্যাটেলাইটগুলোর বদলে জ্যাম করার অনুপযোগী একঝাঁক নতুন স্যাটেলাইট বসানো শুরু হবে ২০১৪ সাল থেকে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষাপণ্য প্রস্তুতকারী ‘বিএই’ স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর করার বদলে সবধরনের ব্যবহৃত সিগন্যালই এ কাজে লাগাবে। এসব সিগন্যালের মধ্যে রয়েছে টিভি, ওয়াই-ফাই, রেডিও ও মোবাইল ফোন। এমনকি সিগন্যাল জ্যামারকেও কাজে লাগানো হবে এ প্রযুক্তিতে। প্রায় ১২ হাজার মাইল দূর থেকে আসা স্যাটেলাইট সিগন্যালের বদলে স্থানীয়ভাবে পাওয়া সিগন্যাল নিখুঁত হবে বলে জানিয়েছে বিএই।
গতবছর ইউরোপিয়ান কমিশন জানায়, ইউরোপের জিডিপির ছয় থেকে সাত শতাংশ বা প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার নির্ভর করছে জিপিএস নেভিগেশনের ওপর। রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোনাস’, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘গ্যালিলিও’ ও চীনা প্রতিষ্ঠান ‘কম্পাস’ এ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। চীনা নেভিগেশন সিস্টেমটির লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে ৩৫টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নেভিগেশন সেবা দেয়া।
Categories:

0 comments:

Post a Comment

Subscribe to RSS Feed Follow me on Twitter!