অ্যানড্রয়েড আজকাল অনেক জনপ্রিয় একটি নাম। এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবার। কী এই অ্যানড্রয়েড? কেনই বা এত আলোচনা একে ঘীরে? বিশেষ করে সারা পৃথিবীতে স্মার্টফোনের বিপুল বিস্তারের ফলে, অ্যানড্রয়েড নামটি আরো বেশি মানুষের মুখে মুখে চলে এসেছে। এমনও হয়তো দেখা যাবে, একজন সাধারণ মানুষ কিংবা বাড়ির বুড়ো দাদা/দাদী এসে জিজ্ঞেস করছেন, আচ্ছা ‌অ্যানড্রয়েড আবার কী! এখানে আমরা চেষ্টা করবো কিছু বেসিক ধারণা দেয়ার। যারা ইতোমধ্যেই অ্যানড্রয়েড নিয়ে কাজ করছেন, তাদের জন্য হয়তো এলেখাগুলো খুব একটা কাজে দিবে না। তবে যারা কিছুটা জানতে চান, এবং ধীরে ধীরে এর দুনিয়ার প্রবেশ করতে চান, তারা হয়তো বেশ উপকৃত হবেন। আমরা ধীরে ধীরে অনেকগুলো আর্টিকেলের মাধ্যমে অ্যানড্রয়েড পরিচিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
অ্যানড্রয়েড(Android) বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এর নামকরণ করা হয়েছে “অ্যানড্রয়েড” নামক একটি রোবট-এর নাম অনুসারে, যা দেখতে অনেকটা মানুষের মত (উপরের ছবিটি দেখলে বুঝা যাবে)। লিনাক্স-এর উপর তৈরী করা (ওপেন লিনাক্স কার্নেল) এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করেছে ‘গুগল’। এতে ব্যবহার করা হয়েছে জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।
যদিও ২০০৫ সাল থেকে অ্যানড্রয়েড সফলভাবে কাজ করতে শুরু করে, তবুও এটা অফিশিয়ালী বাজারে ঘোষণা করা হয় ৫ নভেম্বর, ২০০৭। তার পরপরেই এসডিকে (সফটওয়্যার ডেভেলপম্যান্ট কিট) বাজারে ছাড়া হয়। আর ১ বছর পর ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রথম অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন "জি-১" বাজারে ছাড়ে এইচটিসি/টি-মোবাইল। এই মাসেই পুরো সোর্স কোড ওপেন করে দেয়া হয়।
সম্প্রতি বের হওয়া অধিকাংশ জনপ্রিয় স্মার্টফোন অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে। যেহেতু অ্যানড্রয়েড ওপেনসোর্স লিনাক্সে তৈরি, ফলে ডেভেলপার প্রয়োজনে এতে নানা পরির্বতন করে নিতে পারবে।
নীচে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের একটি আর্কিটেকচার দেয়া হলো-
অ্যানড্রয়েড চালিত বিভিন্ন ফোনের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বিভিন্ন হয়। এতে বিল্ট-ইন অ্যাপ্লিকেশন থাকে; পাশাপাশি এটি থার্ড-পার্টি প্রোগ্রামও সাপোর্ট করে। ডেভেলপাররা অ্যানড্রয়েড “সফটওয়্যার ডেভেলপার কিট” সংক্ষেপে SDK ব্যবহার করে অ্যানড্রয়েড-এর জন্য প্রোগ্রাম তৈরী করতে পারে।
এটি জিএসএম টেলিফোনি সাপোর্ট করে, এবং মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপটিমাইজ করা আছে। এতে অডিও, ভিডিও এবং বিভিন্ন ফরম্যাটের ছবি ইত্যাদি মিডিয়া সাপোর্ট রয়েছে। এতে রয়েছে ব্লুটুথ,এজ, থ্রি জি এবং ওয়াইফাই সুবিধা। সম্প্রতি এতে যোগ হয়েছে ফোর-জি প্রযুক্তি।
এত সব সুবিধা আছে বলেই মোবাইল ডিভাইসে অ্যানড্রয়েডের প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে গেলে নেই। গুগলের এই অপারেটিং সিস্টেম এত বেশী জনপ্রিয় যে, স্মার্টফোন আর অ্যানড্রয়েড এখন যেন অনেকটাই সমার্থক। আর তাই চাকুরীর বাজারেও অ্যানড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের স্থান অনেক উপরে!

0 comments:

Post a Comment

Subscribe to RSS Feed Follow me on Twitter!