১। ব্ল্যাক ক্যাট তো সবার পরিচিত।কালো বিড়াল। ইতিহাস থেকে জানা যায়,ব্রিটেনে কালো বিড়াল হচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতীক।স্কটল্যান্ডের মানুষের বিশ্বাস হল যে মেয়ের ঘরে কালো বিড়াল ঢুকবে তার অনেক পাণীপ্রার্থী হবে। কালো বিড়ালের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে জাহাজে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য কালো বিড়াল রাখা হত। তবে মধ্যযুগে কালো বিড়ালকে মন্দভাগ্যের প্রতীক ভেবে অনেক হত্যা করা হয়েছিল।এজন্যই আমরা ঐসময় ইউরোপে ইদুরঘটিত প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখতে পাই।
এই  বিড়াল ধরার জন্য আপনাকে যেতে হবে এখানে ।

২. ব্লগারদের মাছি মারায় এগিয়ে আসা উচিত।  নিশ্চিন্তে মাছি মারার জন্য চলে যান এখানে আর ইচ্ছেমত মাছি মারা চলুক।

৩।বাংলা ছবির কথায় আসি।বাংলা ছবি আমাদের জিনিস।ভালো হোক মন্দ হোক আমাদের। এরকমই বাংলা একটা ছবিতে এক ভিলেনের কাছ থেকে একটা নতুন তথ্য পেয়েছিলাম। নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার মা নাকী মেজাজ খারাপ হলে জিনিস পত্র ভাঙাভাঙি করে মেজাজ ভালো করতেন। জিনিস পত্র ভাঙার শব্দে তার রাগ পড়ে যেত। এই পদ্বতি অবশ্য ফলো করেন রাজনীতিতে থাকা বিরোধী দল এবং তাদের সমর্থকেরা। যে দলই বিরোধী দল হোক মাঝে মাঝেই তারা হরতাল ঢেকে গাড়ি পুড়িয়ে, কাচের গ্লাস ভেঙে রাগ নামায়। নবাব সিরাজের মায়ের মত।
কিন্তু ধরেন আপনি কম্পিউটারের সামনে বসে আছেন। হঠাৎ আপনার রাগ উঠে গেল।চরম রাগ। একেবারে ফাটাফাটি, ভাঙাভাঙি রাগ। কিন্তু ভাঙবেন কি? কাচের গ্লাস ভাঙলে ঘরে বকা ঝকা খাওয়ার সম্ভাবনা, কম্পিউটারের মনিটর ভাঙ্গলে অর্থনৈতিক ক্ষতি, ইত্যাদি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় ভাঙার জিনিস এক বিরল প্রজাতি সাধারন মানুষদের জন্য।
এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলতে পারি গুগল ভাঙেন। হ্যা সার্চ ইঞ্জিন গুগল।ভেঙে টুকরো টুকরো করে টুকরো গুলো ইচ্ছে মত ছুড়ে ফেলে ভাঙা টা উপভোগ করেন। এই গুগল ভাঙায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার রা বা ওয়েবমাষ্টার রা, যাদের সাইট গুগল দ্বারা পেনালাইজড হয়েছে নিকঠ অতীতের সার্চ এলগোরিথম আপডেটের কারনে, তারা ব্যাপক মজা পাবেন।
তো ভাঙেন গুগল ভাঙেন।



৪।
এখন তো অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন মিউজিশিয়ান।দারুন কন্ঠ।বিশাল প্রতিভা। আর এই সব ই কম্পিউটারের কল্যাণে। এডিটিং করে পুরা যা তা অবস্থা।গান হচ্ছে।শিল্পী হচ্ছে।একই ধারার মিউজিক হচ্ছে।
এখানে একটু ক্রিয়েটিভ ভাবে বানাতে পারবেন মিউজিক ।একটু ভিন্নভাবে।

৫।এবার আপনার যুদ্ধ দ্যা ওয়ার মটরশুটির(বিনস) বিরুদ্ধে। মটরশুটি ধরেন এখন দেশের জন্য হুমকি।

বসে থাকার কোন মানেই হয় না। লেগে যান মটরশুটি ভাঙতে ।বাকী আল্লাহ ভরশা।

৬।সায়েন্স ফিকশন পছন্দ হলে এবারের ফ্ল্যাশ টি ভালো লাগবে। নয়জন পৃথিবী বিখ্যাত শিল্পীর সৃষ্টি কে এক সাথে করা হয়েছে এখানে। আমার কাছে লেগেছে অসাধারন।লোড হতে একটু সময় নেয়। কিন্তু আপনি যদি জাফর ইকবাল স্যারের যারা বায়োবট পড়ে কল্পণায় কোন সাই ফাই জগত দেখেছিলেন মনের অজান্তেই সেই ছোটবেলায় তাহলে এই সাই ফাই বস্তুটি
আপনার ভালো লাগবেই বলা যায়।

এইসব ফ্ল্যাশ,গেমস ব্যবহার করতে গিয়ে সময়ের প্রতিও লক্ষ্য রাখা দরকার। সময় তো পড়ছেই। এই বালুর মত ।

0 comments:

Post a Comment

Subscribe to RSS Feed Follow me on Twitter!