রঙের তাপ
রঙ
চাক্কিতে আমরা মোটামুটি রংধণুর সব রঙ পেয়েছিলাম। এই চাক্কিটা আবার চাইলে
দুইভাগে ভাগ করা যায়-রঙের তাপমাত্রার ভিত্তিতে। শুনতে আজব লাগলেও ব্যপারটা
আসলেই তাই। রঙ এরও ঠান্ডা-গরম আছে। ওপরের ছবিটা দেখুন। এখানে নীলের দিকের
রঙ গুলিকে বলা হচ্ছে ঠান্ডা আর লালের দিকেরগুলি গরম।
![]() |
খুব সম্ভব বরফের রঙ নীলাভ আর আগুনের রঙ লালচে বলে আমাদের অবচেতন ব্যপারগুলি এভাবে দেখে। আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে এই দুই ধরনের রঙের একটা ভারসাম্য রাখলে সেটা দেখতে ভাল লাগে। দক্ষ আঁকিয়েরা এই দুই ধরনের রঙ একটার সাথে আরেকটা ভেবেচিন্তে ব্যবহার করেন। আর গরমের সাপেক্ষে ঠান্ডা, বা ঠান্ডার সাপেক্ষে গরম রঙ অনেক ভাল 'ফোটে'। |
![]() |
রঙ আরেকটু গুলিয়ে নিয়ে চাক্কিটা খেয়াল করুন, এমনকী সবুজ, টিয়া কমলা এগুলিও অনায়াসে গরমের দিকে জায়গা করেছে। একইভাবে বেগুনী থেকে ফিরোজা সবই আবার গিয়ে পরেছে ঠান্ডা এলাকায়। ব্যপারটা আসলে আরো সুক্ষভাবে বোঝার আছে তবে সেটা আমরা পরে দেখব। এই সিরিজের শেষে গিয়ে আমরা যা যা দেখলাম তা দিয়ে মাস্টার পেইন্টারদের কাজগুলি আমরা বিশ্লেষণ করব। |
![]() |
এই ছবিটা দেখলেই আসলে ব্যপারটা সহজে বুঝে ফেলা যায়। এখানে একেবারে মোটা দাগে আকাশের ঠান্ডা নীল রঙ আর তার সাথে সামনে উষ্ণ টিয়া ঘাস। অর্থাৎ প্রকৃতিতেই ব্যাপারটার একটা ভারসাম্য থাকে। আমরা পারলে পরে কিছু ফটোগ্রাফ নিয়ে আরো খুঁটিয়ে ব্যাপারটা দেখব। |
![]() |
ঠান্ডা আর গরম কি আলাদা করা যাচ্ছে? -LION KING |
![]() |
এখানে |
![]() |
খেয়াল করুন, এ সব ডিজাইনে ওয়ার্ম আর কুল রঙের প্রয়োগ একেবার মোটা দাগেই করা হয়েছে। এটা খুবই কাজের একটা জিনিস। মানে যদি আপনি মূল ক্যারেকটারকে 'ফোটাতে' চান তাহলে তার গায়ে যদি ওয়ার্ম রঙ দ্যান তো তার পেছনের রঙ হবে তার উলটা, মানে কুল। |
0 comments:
Post a Comment